বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বড় দলগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে। তারা জনগনের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখছে না। তবে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবচেয়ে বড় শক্তি ‘সচেতন নাগরিক। ‘ কেউ যাতে সংবিধান লঙ্ঘন না করতে পারে এ ব্যাপারে দেশের জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ১৩১ নম্বর গ্যালারিতে ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের ৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধান সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়নি। সংবিধানে ‘সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগনকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে মানুষ যে চেতনা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল সংবিধানের চার মূলনীতিতে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখানে আমাদের অতীত লড়াইও ভবিষ্যত অভিযাত্রাও ছিল। সংবিধান রক্ষায় ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ’ বর্তমানে একটি আপ্তবাক্যে পরিণত হয়েছে। এটি এখন শুধু বলার জন্য বলা হয়ে থাকে। সংবিধানের বেশিরভাগ সংশোধনী শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছায় হয়েছে, জনগণের ইচ্ছায় নয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবর হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নাসিম আখতার হোসাইন ও সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্ট্যাডিজের সভাপতি অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।