‘বিএনপি উল্টো আমাদের অত্যাচারী এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। তাদেরকে এত রাজনৈতিক সুযোগ দেওয়ার পরও তারা আমাদের বলছে, আমরা নাকি কর্তৃত্ববাদী সরকার, অত্যাচারী সরকার।’
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনের সড়কে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এসব কথা বলেন।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে ওস্তাদ। তাদের পারদর্শিতা কোনোভাবেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আরেকটা ব্যাপারে তারা পারদর্শী। মিথ্যাচারের রাজনীতি, প্রোপাগান্ডার রাজনীতি। আমরা দেখে নেব, তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে।’
শেখ ফজলে শামস বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়, মানুষ আতঙ্কে থাকে, ভয় পায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ কারণেই যুবলীগ রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষকে সাহস দেয়। যখনই তারা কর্মসূচি দেবে, যুবলীগও রাজপথে থাকব।
বিএনপি কীভাবে ক্ষমতায় আসবে প্রশ্ন তুলে যুবলীগ নেতা বলেন, ‘১৪ বছর কেন, এই বাংলাদেশে যত দিন মুক্তিকামী বাঙালি, তাদের প্রজন্ম এবং সন্তানেরা আছে, যত দিন যুবলীগ আছে, আমরা দেখে নেব তারা কীভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনার অধীনেই সাংবিধানিক ও সুশৃঙ্খলভাবে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে, তাতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জয়ী হবে।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাঈনুল হোসেন খান। তিনি বলেন, বিএনপি একটি মানবাধিকার হরণকারী জঙ্গি দল। তারা দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে।
যুবসমাজ শপথ নিয়েছে জানিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত যে ষড়যন্ত্র করছে, তার প্রতিবাদ করতে, দাঁতভাঙা জবাব দিতে যুবলীগই যথেষ্ট। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যুবলীগ সারা দেশে রাজপথে থাকবে।