বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে অর্থায়নের উৎস নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি তো আগেও বলেছি, বিএনপি এই বিভাগীয় সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির একটা বড় প্রকল্প নিয়েছে। তারা সমস্ত কালো টাকার মালিকদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করছে, ব্যবসায়িদেরকে বাধ্য করছে টাকা দেওয়ার জন্য এবং আমি শুনতে পেরেছি যে, বিদেশি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও তাদেরকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। যে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে খালেদা জিয়া টাকা নিয়েছিলেন, সেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সে দেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সেই কথা বলেছিলেন। সেই সংস্থার কাছ থেকে তারা এবারও অর্থ পেয়েছে বলে আমি শুনতে পেয়েছি।’
ভারত সফর সম্পর্কে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে অবাক হয়েছি, প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমা দেখার জন্য। হাওয়ার শো ছিলো দুপুর দেড়টায়, সকাল ছয়টা থেকে লাইন দিয়েছে। পরের দিন শো’তে দুই হল মিলে আসন সংখ্যা ছিলো নয়শ’ আর মানুষ গেছে প্রায় তিন হাজার। সেখানকার দাবির প্রেক্ষিতে শো বাড়াতে হয়েছে। বাংলাদেশের ছবি দেখার জন্য কলকাতায় মানুষের যে উন্মাদনা, সেই উন্মাদনা দিল্লিতেও হয়েছে। দিল্লিতে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে অনেক বাঙালি সাংবাদিক দিল্লিতে কয়েকটি বাংলাদেশি সিনেমা দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। সেটির ব্যবস্থা আমি করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দু’দেশের মানুষের সৌহার্দ্যরে ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কোনো ধরণের গুজব, ভুল বা অসত্য তথ্য যদি সংবাদ আকারে পরিবেশিত হয়ে দু’দেশের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি বা আন্তরিকতা নষ্ট করার চেষ্টা করে, এ ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকতে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখতে পারে।’