যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহযোগীরা আরও কিছু সরকারি গোপন নথি উদ্ধার করেছেন। বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এসব নথি তখনকার সময়ের। এ ঘটনা হোয়াইট হাউসকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্টের মেয়াদ-পরবর্তী ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে কয়েক মাস আগে এক দফা গোপন সরকারি নথি মিলেছিল। এ ঘটনা ও প্রাপ্ত নথিগুলো খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন গোপনীয় নথি সুরক্ষিত রাখার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি, সে সময় বাইডেনের কার্যালয় থেকে পুরোনো নথি পাওয়ার এ ঘটনা ডেমোক্রেট পার্টির কর্মী-সমর্থকদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় গোপন নথিগুলো বাইডেনের সহযোগীরা কখন কোথায় পেলেন, তা পরিষ্কার জানা যায়নি। হোয়াইট হাউসের কাছে অবস্থিত থিঙ্কট্যাঙ্ক পেন বাইডেন সেন্টার থেকে নভেম্বরে ১০টির মতো গোপন নথি পাওয়া গেলেও তা উদ্ধারের ঘটনা চলতি সপ্তাহেই আলোর মুখ দেখে।
নথিগুলোতে ইউক্রেন, ইরান ও যুক্তরাজ্য সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য ও ব্রিফিং ছিল বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউস এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় পাওয়া গোপন নথির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে বুধবার বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়ের তাঁর দৈনন্দিন ব্রিফিংয়ে প্রথম দফায় পাওয়া গোপন নথির বিষয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এটা এখন বিচার মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় আছে।
মঙ্গলবার বাইডেন তাঁর একসময়ের ব্যবহৃত কার্যালয় থেকে সরকারি গোপন নথি পাওয়ার ঘটনায় ‘বিস্মিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিচার মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় তিনি ‘সহযোগিতা’ করছেন।