বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেছে। ছন্দ ও সময়টাও ঠিক পক্ষে নেই। তবু বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় দুই তারকার একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ‘সিআর সেভেন’র হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বিশ্বব্যাপী কোটি ভক্ত।
রোনালদোও স্বপ্ন দেখেন বিশ্বকাপ জয়ের। আর ফাইনালে ব্রাজিল প্রতিপক্ষ হলে সেটি রোনালদোর জন্য স্বপ্নের মতো ব্যাপারই হবে। সেলেসাওদের হারিয়েই বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চান পর্তুগিজ তারকা।
২০০৬ বিশ্বকাপে অভিষেক হয় রোনালদোর। এরপর খেলেছেন আরও তিনটি বিশ্বকাপে। কাতারে নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। লক্ষ্য একটাই, দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো।
আর ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রাজিলকে পাওয়া স্বপ্নের মতো হবে বলেই জানিয়েছেন রোনালদো, ‘আমি কাসেমিরোর সঙ্গে মজা করে বলি যে এবার পর্তুগাল-ব্রাজিল ফাইনাল হবে। সত্যি কথা বলতে, এটা স্বপ্নের মতো। এটা বিশ্বকাপ, বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন টুর্নামেন্ট। আমি এটা নিয়ে স্বপ্ন দেখি। আমি জানি, এটা অনেক কঠিন কাজ। তবে স্বপ্ন তো দেখাই যায়। আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি। আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, সেখানে গিয়ে লড়াই করা।’
কাতারের উষ্ণ আবহাওয়া নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। তবে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে যেকোনো আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে হবে জানিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আবহাওয়া আমার জন্য সমস্যা নয়। আমরা প্রস্তুত। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমরা সব ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম। আমার মত হচ্ছে, এটা ভালো হবে। কারণ, আমি উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করি। এটা আমার জন্য বড় কোনো সমস্যা না।’
বিশ্বকাপে রোনালদোর গোল এখন ৭টি। সুযোগ আছে আরেক পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিওর করা ৯ গোলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। এ রেকর্ড ভাঙার ব্যাপারে রোনালদোও বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘দারুণ একটি চ্যালেঞ্জ। ইউসেবিওর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। তিনি এমন একজন, যাঁকে পর্তুগিজরা হৃদয়ে ধারণ করেন। অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। যদি এমন একটা সুযোগ থাকে এবং কাজে লাগাতে পারি। আমার মনে হয়, ইউসেবিও ওপারে খুশিই হবেন। তিনি আমাকে তাঁর রেকর্ড ভাঙার জন্য শুভকামনা জানাবেন।’