ঘুরে ঘুরে সংসার করছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী-জয়া আহসান! তাই কর্তা-গিন্নির পোশাকে রং-মিলন্তি। প্যাস্টেল গোলাপি রঙের নরম তাঁতের শাড়ি, কলমকারি ব্লাউজ জয়ার গায়ে। চুল তুলে ক্যাচারে আটকানো। গলার পাতলা চেন, কানে দুল। রূপটানে কোনও বাহুল্য নেই। এই সাজেই জয়ার থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। পঙ্কজও প্যাস্টেল গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি, চোস্ত পাজামায় ধোপদুরস্ত। তাঁদের যাবতীয় অমিল চায়ের কাপে! পঙ্কজ গলা ভিজিয়েছেন লিকার চা-তে। জয়ার পছন্দ, দুধ, চিনি দিয়ে বানানো কড়া চা!
সকাল সকাল দম্পতি মধুর দাম্পত্য আলাপে ব্যস্ত। তাঁদের মতোই ছিমছাম তাঁদের একতলা বাড়িটিও। ইতিউতি ফিসফাস, জয়ার সঙ্গে এখানেই নাকি নতুন সংসার পেতেছেন পঙ্কজ? গুঞ্জন জোরালো হতেই আজকাল ডট ইন ছানবিনে হাজির দক্ষিণ কলকাতার ৪৩, ঝাউতলা রোড, কলকাতা-১৯ ঠিকানায়। সেখানে পা রেখেই কী চোখে পড়ল?
বাড়ির চারপাশে ধোঁয়া ছড়িয়ে মেকি কুয়াশার আস্তরণ। সেই আবরণ ভেদ করে মনিটরে চোখ রেখে গম্ভীর পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী! তারও আগের দৃশ্য দেখার মতো। মনিটরের পাশে বসেই পাঁচটি কচুরি, এক বাটি আলুর তরকারি, ওমলেট, পাউরুটি টোস্ট দিয়ে জমাটি জলখাবার সেরেছেন। ঝকঝকে আকাশে কমলালেবুর মতো রোদ। সেই রোদ গায়ে মাখতে মাখতেই অনিরুদ্ধ শ্যুট করছেন তাঁর আগামী হিন্দি ছবি ‘কড়ক সিং’য়ের।
পরের শট নেওয়া হবে বসার ঘরে। তার তোড়জোড়ে ব্যস্ত ইউনিট। বাইরে মিঠেকড়া রোদ চড়ছে। রাস্তায় ভিড় বাড়ছে ক্রমশ। তিনটি ইয়া বড় মেকআপ ভ্যান। তিন তারকা অভিনেতার জন্য। উৎসাহী দর্শকদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই। কারণ, গোটা বাড়িজুড়ে সেট। সেই ভিড়ে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কলকাতার সাংবাদিকেরাও। শটের আগেপরে যাবতীয় কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা। নীচু গলায় সহ-অভিনেতার সঙ্গে আড্ডা পঙ্কজের। হঠাৎই আনমনা জয়া। বললেন, ‘‘এ বার বেশ কিছুদিন কলকাতায় থাকতে হবে। কোথাও বেড়ানো হবে না। রাতদিন, সাতদিন শ্যুটিংয়ে ডুব দিন দশা আমার।