অমরত্ব নিশ্চিত হয়েছিল আরও আগে। তবে বিশ্বকাপ জয় লিওনেল মেসির উচ্চতাকে নিয়ে গেছে সপ্তম স্বর্গে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তার অধিনায়কত্বে ৩৬ বছরের শিরোপার খরা কাটে আর্জেন্টিনার। এই অবিস্মরণীয় যাত্রার পুরোটা সময় ধরে মেসিরা থেকেছেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেসি ও আর্জেন্টিনার অর্জনের পেছনে প্রতিটি পরিশ্রমের সাক্ষী হিসেবে রয়েছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়।
আর্জেন্টিনার এই যাত্রাটাকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ও স্মরণীয় করে রাখতে চলেছে এবার। কাতার বিশ্বকাপের সময় মেসি থেকেছেন যে কক্ষে, সেই কক্ষটাকে ‘মিনি জাদুঘরে’ রূপ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যেখানে পিএসজি এই তারকার জিনিসপত্র অপরিবর্তিত থাকবে। সেখানে এখন থেকে আর কেউ থাকতে পারবেন না, তবে জাদুঘর করা হলে সবাই তা দেখার সুযোগ পাবে। কাতার নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে পেনিনসুলা।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও জনসংযোগ পরিচালক হিটমি আল হিটমি বলেছেন, ‘মেসির জিনিসপত্র শিক্ষার্থী এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হবে। যাতে পরবর্তীতে সকলে সেই মুহূর্তকে উপলব্ধি করতে পারে, যে মুহূর্তে মেসি এই কক্ষে শুয়ে বিশ্বকাপ পরিকল্পনা তৈরি করতেন।’
উল্লেখ্য যে, বিশ্বকাপ চলাকালে ২৯ দিন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন মেসিরা। পুরো আর্জেন্টিনা দলকে জায়গা করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিও ঘোষণা করা হয়। মেসিদের জন্য কাতার বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ সুবিধারও কোনো কমতি রাখেনি।
লিওনেল স্কালোনির দলকে আতিথ্য দেওয়ার আগে সেখানকার ছাত্রাবাসে আনা হয় খানিকটা আর্জেন্টাইন ছোঁয়া, যেন মেসিরা সেই জায়গাকে নিজেদের ঘরই মনে করেন। আর্জেন্টিনার জন্য তিনটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করে দেয় তারা। যেখানে আউটডোর অনুশীলনের পাশাপাশি ইনডোরে জিম করার সুবিধাও পান মেসিরা।
কাতার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত নতুন এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণই আর্জেন্টিনার প্রতীকস্বরূপ নীল এবং সাদা রঙে সাজানো হয়। শুধু তাই না, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও শোভা পাচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পোস্টার, খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ এবং জার্সি।