The news is by your side.

হলি আর্টিজানে হামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড, একজন খালাস

0 609

 

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এক আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার আট আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এদের মধ্যে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

বহুল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে আদালত পাড়াসহ রাজধানী ঢাকা ও সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পুরো সড়কে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ। সাদা পোশাকেও তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত এক বছরে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করেছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজন, হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত পুলিশ, হোলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, জিম্মি হয়ে পড়া অতিথি এবং যেসব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে নৃশংস এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেসব বাড়ির মালিকেরা।

২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে স্পষ্ট হয়েছিল জঙ্গিবাদের বিস্তারের এক বিপজ্জনক মাত্রা।

জঙ্গিরা হত্যা করেছিলেন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে; যাঁদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি।

হামলার ৩ দিন পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। এর দুই বছর পর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই জীবিত আট হামলাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

একই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ৩ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষে গত ১৭ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক মজিবুর রহমান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.