The news is by your side.

মার্কিন সেনা ঘাঁটি  পার্ল হারবারে আত্মঘাতী   নাবিক!

0 585

 

 

মার্কিন সেনা ঘাঁটি পার্ল হারবার। আজ সেখানেই দুই সাধারণ কর্মীকে গুলি চালিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হল এক মার্কিন নাবিক। তার গুলিতে জখম হয়েছেন আরও এক কর্মী। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ এই ঘটনার সময়ে পার্ল হারবার সেনা ছাউনিতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার চিফ এয়ার মার্শাল আরকেএস ভদৌরিয়া ও তাঁর দল। প্রশান্তমহাসাগরীয় বায়ুসেনা প্রধানদের বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। পার্ল হারবার-হিকহ্যাম জয়েন্ট বেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভদৌরিয়া ও তাঁর দল নিরাপদে রয়েছে। হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ওই নাবিক এই কাজ করল, নিহতরা আগে থেকেই তার নিশানায় ছিল, নাকি বেপরোয়া গুলি, সে সব এখনও জানা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে ওই নাবিক ও নিহতদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে এসে হামলা চালাতে পারে, এমন একটি ডুবোজাহাজ ‘ইউএসএস কলম্বিয়া’র দায়িত্বে ছিল ওই নাবিক। পার্ল হারবার-হিকহ্যাম বন্দরে মেরামতির জন্য আনা হয়েছিল ডুবোজাহাজটিকে।

হনলুলুর নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ জাহাজ তৈরির জায়গায় গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পাওয়া মাত্র ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে ফের খুলে দেওয়া হয়। ‘ড্রাই ডক ২’-এর কাছেই ওই শিপইয়ার্ডটি। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ওয়াহু দ্বীপে পার্ল হারবার-হিকহ্যাম জয়েন্ট বেস মার্কিন নৌ-সেনা ও মার্কিন বায়ু সেনা দুয়েরই ঘাঁটি। এই শিপইয়ার্ডে জাহাজ ও ডুবোডাহাজ— এই দুই সারানো, সংরক্ষণ, আধুনিকীকরণের কাজ হয়। বন্দরটিতে অন্তত ১৫টি অতি আধুনিক ডুবোজাহাজ, ১০টি ডেসট্রয়ার (ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী ছোট কিন্তু ক্ষিপ্র গতির জাহাজ) রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এই পার্ল হারবারের মার্কিন সেনা ঘাঁটিতেই বোমা ফেলেছিল জাপান। আগামী শনিবার ১৯৪১ সালের সেই হামলার ৭৮ বছর পূর্তি। সে দিন যাঁরা বেঁচে ফিরেছিলেন, শনিবার তাঁদের অনেকে জড়ো হবেন পার্ল হারবারে। হাওয়াইয়ের নৌ-বাহিনীর কম্যান্ডার রবার্ট চ্যাডউইক জানিয়েছেন, আজকের ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.