The news is by your side.

মামুনুল আমার সঙ্গে প্রতারণা করে : ঝর্ণা

0 422

 

 

 

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ‘কথিত’ দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেছেন, ‘মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা।

সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও মামলায় জান্নাত নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি। জান্নাত আরা বলেন, ‘ বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।’

কীভাবে মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলাম। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।’

মামলা হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জান্নাতকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা-পুলিশ।

মামলার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, ‘সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে বাদীর সঙ্গে মামুনুল হক প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সম্পর্ক করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলাটি সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম তদন্ত করবেন বলে জানান তিনি।

গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে ওই নারীসহ মামুনুলকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদরাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.