The news is by your side.

বিয়ের প্রথম বছর কীভাবে সামলাবেন?

0 518

 

শুভেচ্ছা, আপনার নতুন জীবনের জন্য।

অনেক আয়োজন, কেনাকাটা, রোশনাই, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়দের সমাগমে বেশ জাকঁজমক করে সমাপন হয়েছে সমস্ত উপাচার। সেই বিয়ের তিনটে দিন যে কীভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারেননি। এবার যুগলে নতুন সংসার শুরু করার দিন। কৈশোর থেকে দেখে দেখে আসা নানা স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবার আপনাদের দু’জনের হাতে। কথায় বলে বিয়ের প্রথন বছর ‘হানিমুন পিরিয়ড’। অর্থাত্‌ এটাই নাকি দাম্পত্য জীবনের সবচেয়ে সুখকর সময়। পাশাপাশি কিন্তু এটাও সত্যি, এই সময়েই ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে নতুন জীবনের সঙ্গে অ্যাডপ্ট করে এগিয়ে চলতে হয়। এবং সেটা স্বামী স্ত্রী দু’জনকেই করতে হয়। আসলে এতদিনের রুটিনটা হঠাত্‌ করে বদলে যাওয়ায় প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হয় বই কী। ছোট্ট উদাহরন, ঘুম ভাঙলেই যেই রঙের ঘরের দেওয়ালটা দেখতে পেতেন সেটা থেকে শুরু করে ব্রেকফাস্ট, দৈনন্দিন জীবনের রুটিন, বাড়ি থেকে ্ফিস যাওয়ার রাস্তা সবটাই আলাদা। ভাল কী মন্দ, সেটা পরের কথা। মূল বিষয় পরিবর্তন। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসা। নিজস্ব সেট আপ থেকে বেরিয়ে আসা। তাই প্রথম প্রথম একটু সমস্যা তো হবেই। কিন্তু ছোট ছোট অ্যডজাস্টমেন্ট, একটু টাইম ম্যানেজমেন্ট করলেই সেটা আর সমস্যা হয় দাঁড়ায় না। প্রয়োজন একে অপরকে বোঝা, অন্যের ইমোশনকে গুরুত্ব দেওয়া। ছোটখাটো সমস্যা তো থাকবেই। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানে আসুন।

শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে চলুন

বিয়ে মানেই অনেক নতুন সম্পর্ক। আপনি এখন এখন সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য। এখন প্রশ্ন বল, সদ্য পরিচিত নতুন আত্মীয়দের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে চলবেন। প্রথমেই চেষ্টা করুন যাঁরা আপনার নতুন পরিবারের নিকট আত্মীয় তাঁদের চিনে নিতে। স্বামীর কাছ থেকে সকলের সঙ্গে অল্প ব্রিফ নিয়ে রাখুন। ধরুন আপনার স্বামীর দাদা। হ্যজব্যান্ডের কাছ থেকে তাঁদের ছোটবেলার দুষ্টুমির কতা জানলেন, বা অন্য কোনও মজার গল্প। তাহলে তাঁদের সঙ্গে আবার যথন দেখা করবেন আপনি বোর হবেন না। কথা বলার টপিক খুঁজে পাবেন। শ্বশুড়বাড়িতে এতো গেল আত্মীয়স্বজনদের কথা। অছাড়া শ্বশুড়বাড়িতে চেষ্টা করুন স্বাভাবিক থাকতে। আপনি যেরকম সেরকম ভাবেই থাকুন। শ্বশুড় শাশুড়ির সহ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। অফিস থেকে ফিরে কিংবা ডিনার টেবলে সবাই একসঙ্গে কিছুক্ষণ কোয়ালিটি টাইম কাটান। সারাদিন কী হল গল্প করুন। আপনারা যদি আলাদা থাকেন তাহলে চেষ্ট করুন দিনে  একবার ফোন করেখোঁজ নিতে। কখনও কখনও উইকএন্ডে একসঙ্গে বেড়াতে যান কিংবা লাঞ্চ বা ডিনার করুন। এতেই সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকবে।

খরচা শেয়ার করুন

নতুন জীবনে প্রবেশ মানে মনে রাখবেন অটা আপনাদের দু’জনের সংসার। তাই আপনি যদি ওয়র্কিং হন, তাহলে চেষ্টা করুন হাজব্যােন্ডের সেঙ্গে কিছু কিছু খরচা শেয়ার করতে। প্রথমেই দু’জনে মিলে একটা লিস্ট তৈরি করুন আপনাদের মেজর অক্সপেন্সগুলো। এরপর কিছু কিছু খরচার দায়িত্ব আপনি নিন। যেমন হয়তো প্রত্যেক মাসের ইলেকট্রিক বিল আপনি দিলেন। কিংবা কখনও কখনও রেস্তরাঁর বিল আপনি মেটালেন। গ্রসারি শপিং বিল শেয়ার করতে পারেন। বা আপনি প্রত্যের মাসে একটা সার্টেন অ্যামাউন্ট আপনাদের কমন পান্ডে রাখতে পারেন। এ ব্যাপারে দু’জনের মধ্যে পরিষ্কার কথা হওয়া ভাল। যাতে পরবর্তীকালে এই নিয়ে কোনও মতবিরোধ না হয় খেয়াল রাখুন।

 

টাইম ম্যানেজমেন্ট

বিয়ের পর টাইম ম্যানেজমেন্ট একটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ির মধ্যে ব্যালেন্স করে চলুন। অর্থাত্‌ ইউকএন্ডে একবার বাড়িতে হয়তো দেখা করলেন বা মােসে একবার গিয়ে ক’টা দিন কাটিয়ে আসলেন। বিয়ের পর হ্যজব্যান্ড যদি কোনও একটা উইকঅনেড ওঁর বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে চায় তাতে বাধা দেবেন না। দেখুন সোশাল লাইফ তো আপনাদের দু’জনেরই আছে। বিয়ে হয়ে গিয়েছে মানেই সব কিছু বদলে গেল এমন তো নয়। কখনও কখনও টাইম বের করে আপনিও আপনার বন্ধু বান্ভদের সঙ্গে ঘুরে আসুন। হাজব্যান্ডকে নিজের সার্কেলে যুক্ত করে নিন। তাহলে একসঙ্গেোও বেরোতে পারেন। আপনি নিজেও আপনার হ্যজব্যােন্ডের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে নিন। তাহলে একসঙ্গেও থাকা হল আবার সোশাল লাইফও হ্যাম্পার হল না। এই ছোট ছোট অ্যাডজা,্টমেন্ট আর ব্যালেন্স্ং থাকলে দু’জনেই ভাল থাকবেন।

ঘরের কাজ

ঘরের কাজ শেয়ার করে করুন। কে কী কাজ করবেন নিজেদের মধ্যে ঠিক করে রাখুন। যেমন আপনি যদি রোজ সকালের ব্রেকফাস্ট করেন তবে হাজব্যান্ডকে বলুন উইকঅন্ডের দায়িত্বটা তাঁর। ঘর মনে রাখবেন এটা আপনাদের দু’জনের সংসার। তাই আপনারা দু’জনে একটা টিম। ুইকএন্ডে ঘর সাফ করার প্ল্যান হলে ঠিক করে নিন কে কোনটা করবেন। কিংবা একসঙ্গে কোনও একটা কাজ শুরু করুন। একে অপরকে সাহায্য করুন। কাজটাকে এনজয় করুন। অন্যের এপর পুরো এক্সপেক্টটেশন দিয়ে রাখবেন না। যে যেদিন অফিস থেকে াগে ফিরবেন সে সেদিন ডানার স্ার্ব করার দায়ত্ব নিন। দেখবেন নিজেদের মধ্যেই সুন্দর একটা ছন্দ চলে আসবে।

 

সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখুন

নিজেরদের মধ্যে রোম্যান্স বজায় রাখুন। রোজ দেখা হওয়ায় কাছের মানুষ অনেকটা চেনা হয়ে যায়। এটাকে বোরডম ভাববে না। বরং দেখুন প্রতিদিনই একটু একটু করে আপনারা একে অপরের সহ্গে আরও বেশি কমফর্টেবল গয়ে উঠবেন।  মাঝে মধ্যে ডেটে যান। একে অপরকে সারপ্রাইজ় করুন। অফিস ফেরত ছোটকোনও উপহার নিয়ে যান। একসহ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান। অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে যােবেন না। ওই সময়টুকু একে অপরেকে দিন। ফফোন বা সোশাল সাইটে সময় না কাটিুয়ে নিজেরা গল্প করুন। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করুন।

সুস্থ থাকুনসুন্দর থাকুন

অনেকসময় দেথে াযায় বিয়ে হয়ে গেছে বলে অনেকেই জিম ছেড়ে দেন। এরকম একটা ভাবনা চলে আসে , কমিটেড হয়ে যাওয়ার আর নতুন করে সুন্দর থাকার দরকার নেই। এটা কিন্তু একদমই ঠিক না। সুস্থ এবং সুন্দর থাকা সবসময় জরুবি। নিজের হাইজিন মেনটেন করুন। একসেঙ্গেও ওয়র্কআউট করতে পারেন দেখবেন ভাল লাগছে। নিজের লুক  নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। নতুন কিছু ট্রাই করুন।  সম্পর্কের রসায়ন ধরে রাখতে পারেন আপনিই।

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.