The news is by your side.

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ: সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে বসতেই পারেননি

0 444

 

 

ঢাকা মহানগর কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের রাখা-না রাখা নিয়ে এক রকম চাপে আছে আওয়ামী লীগ। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের সাধারণ নির্দেশনা রয়েছে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যে খসড়া কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে দেওয়া হয়েছে সেখানে রাখা হয়নি কাউন্সিলরদের। তবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যে খসড়া কমিটি চূড়ান্ত হচ্ছে সেখানে একাধিক কাউন্সিলরকে দেখা যেতে পারে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা এমনটাই জানিয়েছেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেওয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা পালন করতে পারছে না ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির গতকাল পর্যন্ত কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে একসঙ্গে বসতেই পারেননি। এর আগে গত মার্চে তাঁরা একাধিক বৈঠক করে মোটামুটি একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই খসড়ায় এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফের একাধিক বৈঠক করে কমিটি চূড়ান্ত করতে হবে। অন্যদিকে করোনা শুরুর আগেই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি খসড়া কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিগগিরই ঢাকা মহানগরের দুই কমিটিই হবে। কাউন্সিলরদের শতভাগ বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করার বাস্তবতা নেই। স্থানীয় নানা বাস্তবতা মাথায় রেখে অনেক সময় কমিটিতে কাউন্সিলরদের রাখতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন। ওই কমিটিতে দু-একজন কাউন্সিলর থাকবেন। দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বসে দু-এক দিনের মধ্যেই কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলবেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি বলেন, ‘সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বসে কমিটির খসড়া চূড়ান্ত করব। গত মার্চে আমরা বসে কিছু ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এরপর তো অনেক জল গড়িয়েছে। ফলে এখন নতুনভাবে কমিটির খসড়া করতে হবে।’

কাউন্সিলরদের কমিটিতে রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন কাউন্সিলর আছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে কমিটি করা কঠিন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই কমিটির খসড়া চূড়ান্ত হবে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’ তবে কাউন্সিলরদের কমিটিতে রাখা-না রাখা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আগেই আমরা ৮০ জনের একটি তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছি। দলীয় নির্দেশনা অনুসারে কমিটিতে কাউন্সিলরদের রাখা হয়নি। আমরা কমিটিতে কিছু নাম বেশি দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সভাপতিই ঠিক করবেন তিনি কাকে রাখবেন বা বাদ দেবেন।’

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কমিটি হবে ৭১ সদস্যের। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া খসড়া কমিটিতে নাম রাখা হয়েছে ৮০ জনের। বিগত কমিটিতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নামও রাখা হয়েছে। কিন্তু নামের পাশে প্রত্যেকের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন লিখে দেওয়া হয়েছে। কে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করেছেন, সংগঠনে এর আগে কোন পদে ছিলেন বা কী অবদান রেখেছেন এসব তুলে ধরা হয়েছে।

জানা যায়, কমিটিতে স্থান পেতে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চাপ দিচ্ছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। এ ছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতাও নগরে গুরুত্বপূূর্ণ পদ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.