The news is by your side.

ট্রাম্পের চিঠি ডাস্টবিনে ফেললেন এরদোগান

0 602

 

কুর্দিদের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা একটি চিঠি ‘ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলেছেন’ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

গত ৯ই অক্টোবর এই চিঠিটি লেখা হয়, এবং সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর এটা ওয়াশিংটন থেকে আংকারায় পাঠানো হয়।

এতে  এরদোয়ানকে লক্ষ্য করে  ট্রাম্প মন্তব্য করেন: “কঠিন হবেন না। বোকামি করবেন না।”

এরদোগানকে ট্রাম্প বলেন, অভিযান খুব বেশি হয়ে গেলে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেয়া হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, হাজার হাজার লোককে হত্যার জন্য আপনি নিশ্চয়ই দায়ী হতে চাইবেন না। আমিও তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য দায়ী হতে চাই না।

‘যদি আপনি এ অভিযান সঠিক ও মানবিক উপায়ে করেন, তবে ইতিহাস আপনাকে ভালো চোখে দেখবে,’ বললেন ট্রাম্প। ‘কিন্তু বিষয়টি যদি ভালোভাবে না হয়, তবে চিরদিনই একজন নিষ্ঠুর ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে দেখা হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের এ নেতা এরদোগানকে আরও বলেন, কুর্দিশ নেতৃত্বাধীন সিরীয় ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের নেতা মাজলুম আবদির সঙ্গে যদি তিনি বৈঠক করেন, তবে একটি চমৎকার চুক্তি হওয়া অবশ্যই সম্ভব।

এমন একটি ভাষায় চিঠিটি লেখা হয়েছে, যাতে কূটনৈতিক সৌন্দর্য পর্যন্ত রক্ষা করা হয়নি। বরং এক চাঁচাছোলা হুমকির মাধ্যমেই শুরু করেছেন চিঠি।

এরদোগানের কার্যালয়ের সূত্র বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ট্রাম্পের চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। চিঠিটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পাশে থাকা আবর্জনার স্তুপে ছুড়ে ফেলেন এরদোগান।

উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রতি একটা ‘সবুজ সঙ্কেত’ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু ট্রাম্পের সমালোচনার একটা বড় অংশ এসেছে তার নিজের দলের কাছ থেকে।

সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অফ রেপ্রেজেনটেটিভে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১২৯ সদস্য বুধবার ট্রাম্পের নিন্দা করে যে ভোটের আয়োজন করেন – তাতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি সদস্যরাও যোগ দেন।

সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাথে ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মিজ পেলোসি এবং সিনেট মাইনরিটি লিডার চার্লস শুমাখার বৈঠকে ছেড়ে চলে যান।

গত বুধবার ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের সেনা অভিযানে হস্তক্ষেপ করবে না, কারণ, সিরিয়ার সীমান্ত “আমাদের সীমান্ত না” এবং কুর্দিরাও “কোন ফেরেশতা নন।”

তুরস্ক গত সপ্তাহে যে অভিযান শুরু করে তার দু’টি লক্ষ্য: প্রথমত ওয়াইপিজি নামে পরিচিত কুর্দি-সিরিয়ান মিলিশিয়া বাহিনীকে হটিয়ে দেয়া। তুরস্ক কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে।

তুর্কী অভিযানের দ্বিতীয় লক্ষ্য: উত্তর সিরিয়ায় একটি ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়ে তোলা যেখানে তুরস্কে বসবাসকারী প্রায় ২০ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীদের এনে বসানো হবে।

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র শক্তি ছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.