The news is by your side.

জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না: ওবায়দুল কাদের

0 601

 

ধর্মঘটের নামে জনগণকে দুর্ভোগে না ফেলতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইন করা হয়েছে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য, কাউকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। পেঁয়াজ, লবণের ইস্যু না পেয়ে, এবার সর্বশেষ সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাবো, জনগণকে শাস্তি দেবেন না, দুর্ভোগে ফেলবেন না।

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে আজ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এসব অঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

তবে এই সংকট কাটবে বলে আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আজকে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করছেন। আশা করি, আলোচনার পর তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন।’

ওবায়দুল কাদের এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে বলেন, ‘টেলিভিশনে দেখলাম পরিবহনশ্রমিকদের দাবি–দাওয়া নিয়ে তাঁরা যে কর্মবিরতি করছেন, সেখানেও বিএনপি নতুন সড়ক পরিবহন আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। উদ্দেশ্য, যদি শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে এখান থেকে কোনো সুযোগ পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ধীরে আরও ধীরে। উসকানি দিয়ে লাভ হবে না।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে, তারা সব ঘাঁটি হারাচ্ছেন। নির্বাচনে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সব ষড়যন্ত্র শুরু হয় লন্ডনের টেমস নদীর পাড় থেকে। সেখানে বসে তারেক জিয়া দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। দেশের জনগণের সাড়া না পেয়ে, বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। বিএনপি বিদেশে ঘুরে ঘুরে আনুগত্য ভিক্ষা করছে। নির্বাচনের আগে ভারতের কাছে গিয়ে আনুগত্য ভিক্ষা করেছে। আওয়ামীলীগ আনুগত্য চায় না চাই বন্ধুত্ব। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ। উসকানি দিয়ে লাভ হবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলার জনগণ তারেক জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন না, তারেক জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার।

এর আগে মন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলন শেষে ওবায়দুল কাদের আগামী তিন বছরের জন্য পুনরায় অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিমকে সভাপতি এবং একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে সাধারণ সম্পাদক করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.