The news is by your side.

এফ আর টাওয়ার ব্যবহার করা যাবে কিনা,  নির্ভর করছে পরীক্ষার ওপর

0 737

ঢাকার বনানীতে এফ আর টাওয়ার ভবনটি পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবনটি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী হতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে

বুয়েটের অধ্যাপক এম এ আনসারি বলছেন, ”ভবনটি থাকবে কি থাকবে না, সেটি নির্ভর করছে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর।”

“সেগুলো বিস্তারিত পর্যালোচনার পর বলা যাবে আসলে ভবনটির কী অবস্থা।”

ভবনের কিছু স্থানে কলামে এবং স্লাবে ফাটল দেখতে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তিনি বলছেন, ”আগামীকাল [সোমবার] নাগাদ আমরা বলতে পারবো যে, আর কী কী কাজ করলে এই ভবনটি টিকিয়ে রাখা যায়।”

“সেসব নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমরা হয়তো একটি সময়সীমা বেধে দেবো, সেটা একমাস বা পাঁচ মাসও হতে পারে। এর মধ্যেই ভবন মালিক বা রাজউকের পক্ষ থেকে হয়তো পরামর্শক নিয়োগ করা হবে।”

মি.আনসারি জানান, “তারা ভবনটি যাচাই করে বলবেন যে ভবনটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব কি সম্ভব না।”

তবে তাদের ধারণা, এই ধরণের একটি বড় ভবনের পর্যালোচনা শেষ করতে পাঁচ মাসের মতো সময় লাগবে।

 কারণে আগুন এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে

আগুন কেন এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল তা নিয়ে অধ্যাপক এম এ আনসারির সাথে আলাপকালে মূলত ছয়টি কারণ উঠে এসেছে।

প্রশিক্ষিত লোকজন ছিল না

তিনি বলছেন, যেকোনো ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম থাকার পাশাপাশি সেগুলো ব্যবহারে দক্ষতা বা প্রশিক্ষিত লোকজনও থাকা দরকার।

“দমকল বিভাগের আসতে সময় লাগে। তখন প্রতিটি ফ্লোরে কিছু প্রশিক্ষিত ব্যক্তি থাকা দরকার ছিল, যারা তাৎক্ষণিকভাবে আগুনটি নেভাবেন।”

তিনি জানান, এই ব্যাপারটি এই ভবনে একেবারেই ছিল না।”

 ‘ফায়ার ডোর ছিল না’

মি.আনসারি জানান, এফ আর টাওয়ারে “আগুন থেকে বাঁচার সিঁড়ি থাকলেও তা ছিল নগণ্য।

“কোন ফায়ার ডোর ছিল না। ফায়ার ডোর থাকলে তার ভেতরে আগুন ঢুকতে পারতো না।”

 মূল সিঁড়ি আগুন এক্সিট সিঁড়ি পাশাপাশি

আরেকটি ব্যাপার হলো, মূল সিঁড়ি আর আগুন থেকে নামার সিঁড়ি দুইটা পাশাপাশি ছিল বলে জানা গিয়েছে, “যা হওয়ার কথা নয়” বলে মনে করছনে মি.আনসারি।

এর আগে দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, ভবনটিতে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড থেকে পালানোর জন্য লোহার ফ্রেমে তৈরি সরু একটি সিঁড়ি ছিল ঠিকই – কিন্তু তা ছিল তালাবদ্ধ।

“ফায়ার এস্কেপ হিসাবে একটি লোহার সিঁড়ি থাকলেও, বিভিন্ন ফ্লোরে সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় দেখা গেছে” – বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন দমকল বিভাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাজাহান শিকদার।

 এক্সটিংগুইশার থাকলেও ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষিত লোক ছিল না

বুয়েটের শিক্ষক মি. আনসারি বলছেন, ভবনে ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও, সেগুলো ব্যবহারে প্রশিক্ষিত লোকজন ছিল না।

 হোসপাইপে পানির সংযোগ ছিল না

এছাড়া হোসপাইপ থাকলেও, সেগুলোয় পানির সংযোগ ছিল না বলে জানতে পেরেছেন তিনি।

ফায়ার অ্যালার্ম ছিল না

বনানীর এই ভবনটিতে কোন ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম ছিল না। যার ফলে অনেকেই এটি বুঝে উঠতে পারেননি।

 

.আনসারি বলছেন, সাত, আট, নয়, দশ ছাড়া অন্য ফ্লোরগুলোয় তেমন বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি বলছেন।

অগ্নি নিরাপত্তার জন্য ফলস সিলিং ব্যবহার না করার জন্যও তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে, যাতে মারা গেছেন ২৬জন। চারজন দমকল কর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭৪জন।

রাজউক জানিয়েছে, ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে এই ভবনটি ২২তলা নির্মিত হয়েছিল।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.