৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’
মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছ। সে চুক্তিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ’ তৈরি করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াইআনি পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ-সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার সঙ্গে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা আমরা সহ্য করতে পারিনি, তাই তাদের আমাদের এখানে জায়গা দিয়েছি। টেকনাফ ও উখিয়ার মোট জনগোষ্ঠীর চেয়ে তিনগুণ বেশি রোহিঙ্গা এসে জায়গা নিয়েছে। কাজেই আমরা নানাধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ‘
মন্ত্রী বলেন, আমরা ১২ সদস্যের দল মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছ। সে চুক্তিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপ’ তৈরি করা হবে।
সেই ওয়ার্কিং গ্রুপই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে, কখন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া তাদের কীভাবে উন্নয়ন হবে- সে বিষয়েও ওয়র্কিং গ্রুপ কাজ করবে।
পরে মন্ত্রীদ্বয় নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। তাদের সঙ্গে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে টেকনাফ ও উখিয়ার সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। তবু রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের যাতে নানা প্রলোভনে প্রলোভিত করেও অন্য জায়গায় নিতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজরদারি করছে সেখানে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য রাখা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করছেন এবং পুলিশের আধুনিক আবাসস্থল ও উন্নত যানবাহনের ব্যবস্থা করছেন। এর ধারাবাহিকতায় নালিতাবাড়ীতে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, নতুন থানা ভবন ও ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ‘
পরে দুই মন্ত্রী নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে বিজিবি, আনসার, থানা ভবন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল ইউনিয়নের আনসার-ভিডিপি সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণির সেরা ২০ শিক্ষার্থীর মাঝে সোলার বাতি বিতরণ করেন।