The news is by your side.

২০ লাখ মোবাইল সিমকার্ড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আজ থেকে

0 711

 

 

সাড়ে ২০ লাখ মোবাইল সিমকার্ড আজ শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো একক ব্যক্তির নামে নির্ধারিত সংখ্যকের বেশি যেসব সিম নিবন্ধন হয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।

বিটিআরসির নির্দেশনা ছিল, একই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম রাখা যাবে না। কিন্তু বিটিআরসি দেখেছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধন হওয়া অতিরিক্ত সিমের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলতে বিটিআরসি তৈরি করেছে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহকবান্ধব হবে এবং এ খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’ বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের (রাত ১২টা) জিরো আওয়ার থেকে সিমগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সকালের মধ্যে সব সিম বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সিম বন্ধ করতে সরকারের কাছে আরও দুই মাস সময় (২৬ জুন পর্যন্ত) চেয়ে আবেদন করেছে। অ্যামটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে সিম বন্ধ হলে গ্রাহকদের চারটি সমস্যা হবে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো সিম বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরের বিপরীতে খোলা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস) বন্ধ হয়ে যাবে, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব বা ক্রেডিট কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (বিশেষত ফেসবুক) আইডি নিষ্ক্রিয় হবে এবং ওটিপি-ওভার দ্য টপ (বিভিন্ন অ্যাপস ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা) বাধাগ্রস্ত হবে। তবে বিটিআরসি তাদের এই আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানিয়েছে।

২০১৬ সালের ১২ জুন সরকার একজন গ্রাহকের বিপরীতে ২০টি সিম নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি করা হলেও সেই সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টি সিম নিবন্ধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। জানা গেছে, ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৬১টি, বাংলালিংকের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩১টি, রবির ৪ লাখ ১৯ হাজার ২০২টি, টেলিটকের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯২টি ও এয়ারটেলের রয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৭৬১টি সিম। বিটিআরসির তথ্যমতে, অন্তত এক লাখ জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত নির্দেশনা মানা হয়নি। এই সংখ্যক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে। কোনো গ্রাহক চাইলে নিজেই মোবাইল ফোন থেকে *১৬০০১# ডায়াল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট সেন্ড করলেই জেনে নিতে পাররেন তার নামে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিটি সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অপারেটরের। এর আগে কেবল অনিবন্ধিত সিম ধরা পড়লে প্রতিটির ক্ষেত্রে ৫০ ডলার হারে জরিমানা গুনতে হতো অপারেটরদেরকে। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছিল অপারেটররা। এখন বিষয়টি পরিষ্কার করে বিটিআরসি জানিয়েছে, মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিয়ে কোনো সিম রেজিস্ট্রেশন হলে তার দায়দায়িত্ব অপারেটরের। এরজন্য তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.