The news is by your side.

ভারতকে ১৭৭ রানে বেঁধে ফেললো বাংলাদেশ

0 645

কেউ কি ভেবেছিল, এত কম রানে অল-আউট হয়ে যাবে ভারত! যা কেউ ভাবেনি সেটাই করে দেখিয়েছে শরিফুল-অভিষেকরা।বিশ্বকাপ জয়ের কাজটা সহজ করে দিলো বোলাররা, বাকি কাজ এবার ব্যাটসম্যানদের।

শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বোলাররা। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজীম হাসান সাকিব উজাড় করে দিলেন নিজেদের। তানজিমের তিন ওভারে রান আসে মাত্র এক। শরিফুলের বলগুলোও বারবরই গিয়েছে ভারতের দুই ওপেনারের ব্যাটে হাওয়া লাগিয়ে। শুরুর সেই রাজত্ব ধরে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল বাংলাদেশের যুবারা। যুব বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিং–লাইনআপকে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানেই থামিয়ে দিয়েছে তারা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে বিশ্বজয় করতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের প্রয়োজন ১৭৮।

বোলিংটা আজ দুর্দান্ত করছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটসম্যানরা। শরিফুল ইসলাম শুরু করেছিলেন। তানজীম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, রকিবুল হাসান, শামীম হোসেন—সবাই ছিলেন দারুণ। প্রথম ৩৬ ওভারে ১৫১ বলে কোনো রান দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এবারের যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সেরা ব্যাটিং লাইনআপকে ২১ ওভার কোনো রান করতে না দেওয়া কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংটাও হচ্ছে দুর্দান্ত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সত্যিকার অর্থে সুযোগই পাননি হাত খুলে খেলার।

ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল একাই লড়ে যাচ্ছিলেন একদিক ধরে রেখে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের মধ্যেও তিনি খেলেছেন নিজের খেলাটাই।

কিন্তু ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জয়সাওয়াল ফিরতেই হুমমুড় করে ধসে যায় ভারত। বিশ্বকাপে আগের পাঁচ ম্যাচে তিন ফিফটি এবং এক সেঞ্চুরি করা এই বাঁ-হাতি ওপেনার ফাইনালে খেলেন ৮৮ রানের ইনিংস। আটটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।

জয়সাওয়াল দলের ১৫৬ রানে চতুর্থ উইকেট হিসেবে ফিরে যান। ভারত তার সঙ্গে ২১ রান যোগ করেই ৪৭.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। শেষ ওই ২১ রানে তারা হারায় ৭ উইকেট। বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল জোড়া আঘাত দেন। এরপর রান আউটে কাটা পড়ে তাদের দুই ব্যাটসম্যান। দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ধ্রুব জুরেল। এছাড়া অন্য কোন ব্যাটনম্যান দশের ঘরে রান নিয়ে যেতে পারেননি।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসাররা এ ম্যাচে বাজিমাত করেন। তিন পেসার মিলে তুলে নেন প্রতিপক্ষের সাত উইকেট। স্পিনার রাকিবুল নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। বাংলাদেশ এ ম্যাচে উইকেট বিবেচনায় স্পিনার মুরাদকে বসিয়ে পেসার অভিষেক দাসকে দলে নেয়। তিনি ৯ ওভারে ৪০ রান দিলেও তুলে নেন ভারতের তিন উইকেট। এছাড়া অন্য দুই পেসার শরিফুল ইসলাম এবং সাকিব দুটি করে উইকেট তুলে নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.