দেড় সহস্রাধিক স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করছে রাজউক
বাংলাদেশের ঢাকার আবাসিক এলাকাগুলো থেকে অনাবাসিক স্থাপনা উচ্ছেদের একটি অভিযান আজ থেকে শুরু করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
রাজউক বলছে, রোববার তারা উত্তরা এবং ধানমন্ডি থেকে এই কার্যক্রম শুরু করবে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
এর আগে মূলত: গুলশান এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের কথা শোনা গেলেও রোববার গুলশান এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকায় রাজউক বলছে সেখানে পরে অভিযান চালানো হবে।
রাজউকের চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী বলছেন, ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় তারা ১,৬০০ অনাবাসিক স্থাপনা চিহ্নিত করেছেন এবং এই তালিকা তৈরির কাজ এখনো চলছে।
বজলুল করিম চৌধুরী বলেন “আমাদের আবাসিক এলাকায় কোন অনাবাসিক স্থাপনা করা যাবে না এবং সময়ে সময়ে রাজউক তার পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে আসছে”।
রাজউক থেকে যদিও এই অভিযানকে নিয়মিত কার্যক্রম বলছে, তবে গত ১লা জুলাই গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর সরকার ঐ এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার কথা বলেছিল।
আবাসিক এলাকা থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে রেস্তোরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে দিলে সেটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কী ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে বজলুল করিম চৌধুরী বলেন , “বিষয়টি নিয়ে পুলিশও কাজ করছে। তারা এটা নিয়ে ভালো বলতে পারবে”।
রাজউকের তালিকায় যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে তার অনেকগুলো বহু বছর যাবত ব্যবসা করে আসছে।
উচ্ছেদ করা প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় যাবে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন “রাজধানীতে আমাদের বাণিজ্যিক এলাকা কিন্তু চিহ্নিত করা আছে। সেই চিহ্নিত এলাকা ছেড়ে কেউ যদি কোথাও যায় সেই দায়িত্বতো আমরা নিতে পারব না”।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বরে এধরনের স্থাপনা উচ্ছেদে একটি টাস্কফোর্স গঠিত হয়। টাস্কফোর্সের আওতায় এর আগে কিছু উচ্ছেদ কার্যক্রম চললেও এখন পুরোদমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করছে রাজউক।