The news is by your side.

জাবির বিষয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

0 838

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে, এর সর্বশেষ খবর প্রধানমন্ত্রী জানেন। কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে নেবেন। সরকার প্রধান এ ব্যাপারে খুব সজাগ। তিনি বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছেন, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বনানীর সেতু ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি।

উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক সপ্তাহ ধরে অচল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

দুপুরে ওবায়দুল কাদের যখন কথা বলছিলেন, তখন সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল আন্দোলনকারীরা।

পরে ছাত্রলীগ ও উপাচার্য সমর্থক শিক্ষকরা চড়াও হয় আন্দোলনকারীদের ওপর। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে সরিয়ে দেয়।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে অস্থিরতার শুরু গত আগস্টে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তখন আন্দোলন শুরু করেন।

এর মধ্যেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উপাচার্য ফারজানার কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনার পরে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষনেতাকে পদ হারাতে হলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।

উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের অর্থ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে, যার অডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ‘ঈদ সালামী’ হিসেবে ১ কোটি টাকা পাওয়ার কথা স্বীকারও করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার তদন্তের দাবিতে নতুন কর্মসূচিতে নামে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

চাপের মুখে উপাচার্য ফারজানা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা ফলপ্রসূ না হওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন, গত সপ্তাহ থেকে আন্দোলনকারীরা শুরু করে ধর্মঘট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.