The news is by your side.

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা 

0 381

 

সিলেটে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।

শুক্রবার রাতে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় এই মামলা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মামলায় সরাসরি জড়িত ছয় জন ও সহযোগী হিসেবে আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লঙ্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। তাদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত। বাকিরা এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র। নাম উল্লেখ করা ছয়জনের সঙ্গে তিনজন সহযোগী ছিলেন উল্লেখ করে তাদের অজ্ঞাত বলা হয়েছে।

এমসি কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এদের সবাই নগরীর টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সক্রিয় কর্মী। সিলেট সদর উপজেলার বাসিন্দা যুবলীগ পরিচয়ধারী এক নেতা তাদের মদদ দেন। এই নেতার মদদে তারা করোনাকালীন সময়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে রাতে মদ ও জুয়ার আসর বসিয়ে আসছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক দম্পতি এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন। এসময় ছাত্রলীগকর্মী এম সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। পরে রাত ১০টায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। ধর্ষিতা বর্তমানে ওসামানী হাসপাতালে ওসিসিতে-এ চিকিৎসাধীন। ঐ সময় ছাত্রলীগকর্মীরা তাদের প্রাইভেট কারও ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ প্রাইভেটকারও উদ্ধার করেছে।

ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালালেও কোন অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রথমে চাপা দিতে আপোস মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ও পুলিশ জেনে গেলে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে সময়ক্ষেপনের কারণে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.