The news is by your side.

আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধের দাবি গাম্বিয়ার

0 559

 

মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের (আইসিজে) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাম্বিয়া। দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেন, আধুনিক যুগে এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণ করা যায় না। রোহিঙ্গারাও মানুষ। খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানসহ বাঁচার অধিকার রয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুরও অধিকার রয়েছে শিক্ষা লাভ করে ডাক্তার হওয়ার।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।

বুধবার মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরবে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে গাম্বিয়া এবং বিকেলে মিয়ানমার প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন ও চূড়ান্ত বক্তব্য পেশ করবে।

ট্রাইব্যুনালে সূচনা বক্তব্যে আবুবকর মারি তামবাদু বলেন, মিয়ানমারকে এই গণহত্যা বন্ধ করতে বলার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে গাম্বিয়া। এই বর্বর ও নির্মম কর্মকাণ্ড থামান। এটি আমাদের সমন্বিত বিবেককে মর্মাহত করেছে এবং এখনও করছে।

আইসিজেকে গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিতে আহ্বান জানিয়ে গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী বলেন, আমি ২০১৮ সালে কক্সবাজারে ওআইসির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে রোহিঙ্গাদের চোখে ভয়, কষ্ট ও মানবিকতার চরম অবমাননা দেখতে পেয়েছি। সেখানে গিয়েই জানতে পেরেছি সেখানে গণহত্যা হয়েছে। গণহত্যা না হলে এত মানুষ পালিয়ে আসত না।

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান গত অক্টোবর মাসে সতর্ক করে দেয় যে, সেখানে আবার গণহত্যা হওয়ার ঝুঁকি আছে। আরও জানায়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আইনি অঙ্গনে মিয়ানমারের জবাবদিহি আদায় করা উচিত।

গণহত্যার অপরাধ বাড়িয়ে দেয়া বা এতে ইন্ধন দেয়ার মতো সব কার্যক্রম বন্ধে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১১ নভেম্বর আইসিজে-তে মামলা করে গাম্বিয়া। তারা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে এই পদক্ষেপ নেয়।

গাম্বিয়া তাদের আবেদনে আদালতকে ঘোষণা করতে বলেছে যে, গণহত্যার কনভেনশনের অধীনে মিয়ানমার তার দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করেছে এবং অব্যাহত রেখেছে; চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে হবে এবং এর দায়বদ্ধতাগুলোর প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান জানাতে হবে।

দ্য হেগের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রোহিঙ্গা এবং মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। মিয়ানমারের নেতৃত্বে থাকছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। শুনানির শুরুতে আইসিজের প্রেসিডেন্ট আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ শুনানির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিচারকক্ষে উপস্থিত সুধীজনদের অবহিত করেন।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.